পরিচয়
তিলাওয়াত আরবি শব্দ। এর অর্থ পাঠ করা, পড়া, আবৃত্তি করা। পবিত্র কুরআন পাঠ করাকে কুরআন তিলাওয়াত বলা হয়।
আল-কুরআন আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে। সুতরাং একে আরবিতেই পড়তে হবে। এজন্য আরবি হরফ বা বর্ণসমূহ চিনে তিলাওয়াত করা শিখতে হবে। এভাবে আরবিতে সুন্দর করে স্পষ্ট উচ্চারণে আল-কুরআন পাঠ করাকে কুরআন তিলাওয়াত বলে।
উল্লেখ্য, কুরআন শব্দটির মূল অর্থ পঠিত। অর্থাৎ যা পাঠ করা হয়েছে। সারা বিশ্বে আল-কুরআনই সবচেয়ে বেশি পাঠ (তিলাওয়াত) করা হয়। এজন্যই একে কুরআন বলা হয়। মুসলমানগণ দৈনিক পাঁচবার সালাতে কুরআন তিলাওয়াত করেন। এছাড়া আমরা অন্য সময়েও কুরআন তিলাওয়াত করে থাকি।
কুরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব
কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের গুরুত্ব অনেক। এটি আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। এতে মানুষের কল্যাণের দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং আমাদের উচিত বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা। কুরআন তিলাওয়াত করলে আমরা আল্লাহ তায়ালার আদেশ-নিষেধ জানতে পারব। বুঝে কুরআন তিলাওয়াত করা উত্তম।
আমাদের প্রিয় নবি (স.) এবং তাঁর সাহাবিগণ প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াত করতেন, কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী আমল করতেন। কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। কেননা সালাতে (নামাযে) কুরআন পড়তে হয়। আর কুরআন তিলাওয়াত ছাড়া সালাত শুদ্ধ হয় না। সুতরাং আমরা গুরুত্ব সহকারে শুদ্ধরূপে কুরআন তিলাওয়াত শিখব এবং প্রতিদিন তিলাওয়াত করব।
কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত
কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত (মাহাত্ম্য) অনেক বেশি। কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা হলো নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত। কুরআন তিলাওয়াত করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন। যে ঘরে কুরআন পড়া হয় সে ঘরে আল্লাহ পাকের রহমত নাজিল হয়। মহানবি (স.)-এর হাদিসে আছে, পবিত্র কুরআনের প্রতিটি হরফের পরিবর্তে দশটি করে নেকি লেখা হয়। সুতরাং বোঝা গেল যে, কুরআন তিলাওয়াত অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ। আমরা সবাই বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করব।
নাযিরা তিলাওয়াত
আল-কুরআন দেখে দেখে পড়াকে নাযিরা তিলাওয়াত বলে। কুরআন মজিদ দেখে পড়াও উত্তম ইবাদত। কুরআন মজিদ দেখে দেখে অথবা মুখস্থ যেভাবেই পাঠ করা হোক তাতে পুণ্য রয়েছে। কুরআন পাঠ মনে প্রশান্তি আনে। অন্তরাত্মা পরিশুদ্ধ হয়। কিয়ামতের দিন কুরআন আল্লাহর নিকট তাদের জন্য সুপারিশ করবে যারা পৃথিবীর জীবনে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করত।
Read more